রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার ঘটনায় ফেনীর ফুলগাজী থেকে মুফতি জাহিদুল হাসান মারুফ নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। ডিবি বলছে কোনো একজনকে শনাক্ত করার জন্য মারুফ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। ডিবির দাবি, দীপন হত্যা মামলার কাউকে আটক করা হয়নি। ফুলগাজী থানা পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে। তবে ফুলগাজী আহসানুল উলুম মাদ্রাসার কর্ণধার মারুফের পিতা মুফতি হাবিবুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার রাত তিনটায় রমনা জোনের ডিবি পরিচয় দিয়ে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তারা বিষয়টি থানাকে জানাননি।এর পরও এক কান দুই কান করে বিষয়টি সাংবাদিকদের কান পর্যন্ত পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। ফেনীর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ফেনী জেলা পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কাউকে আটক করেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের অনেক মামলা থাকে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমার জানা নেই। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরেকুর রহমান খালেদ জানান, আমরা দীপন হত্যায় কাউকে আটক করিনি। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম জানান, কোনো এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করার জন্য মারুফ নামের একজনকে ধরেছি। তবে দীপন হত্যায় জড়িত কাউকে ধরিনি। কাকে শনাক্ত করার জন্য মারুফকে ধরা হয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুফতি মারুফকে ছেড়ে দেয়া হবে। তার অভিভাবককে খবর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপার ফারুকের পিতা ফুলগাজীর তারাকুসা গ্রামের বাসিন্দা মুফতি হাবিবুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে বলেন, আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর ছেলের সঙ্গে আমার ফোনে কথাও হয়েছে। ফোনে সে ভালো আছে বলে আমাকে জানিয়েছে। পটিয়া মাদ্রাসা থেকে দাওরা হাদিস সম্পন্ন করে সে আমারই প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসার হাল ধরে। সে-ই এখন মাদ্রাসার প্রধান ব্যক্তি। ছেলেই সবকিছু দেখাশোনা করে। গত চার বছর ধরে সে ঢাকায় যায়নি।